ওয়েব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি নেপালে। ৪৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও উত্তাল নেপাল। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছে নেপাল সরকার। এরপরই একে একে পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। নেপালের বাঁকে জেলার সংশোধনাগারের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য দিকে,নেপালের দায়িত্ব নিল সে দেশের সেনাবাহিনী। নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা। নেপালের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, নেপালের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।নেপালে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফুর মেয়াদ বাড়ান হয়েছে, জানাল নেপাল আর্মি।
ছাত্র-যুব আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নেপালে। কাঠমান্ডু থেকে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে নেপাল জুড়ে। হাজার হাজার বিদ্রোহী নেমে পড়েন রাস্তায়। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের আগুনের আঁচে পুড়তে থাকে নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, ওলি এবং তাঁর মন্ত্রীদের বাসভবন। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টেও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর মেলে। সূত্রের খবর, Gen Z আন্দোলনে মৃতদের সরকারিভাবে ‘শহিদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। শহিদ পরিবারগুলিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান, অভ্যর্থনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের জন্য দেশছাড়া হওয়া এবং সামাজিক অবিচার দূর করতে বিশেষ কর্মসূচি আনা হবে। এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির জন্য নয়, বরং গোটা প্রজন্ম ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগে নেপালের জেলগুলিতে বিদ্রোহের আগুন ছড়ায়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন শয়ে শয়ে বন্দি। প্রতিরোধ করতে গেলে আক্রান্ত হন নিরাপত্তারক্ষীরা। পাল্টা গুলিও চালান তাঁরা। বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি চালায় পুলিশ। তাদের গুলিতে সাত জন আহত হন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ জনের মৃত্য হয়।