Languages

উত্তরপ্রদেশে ‘ন*গ্ন গ্যাং’-এর দাপাদাপি! আতঙ্কে মহিলারা

উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার দাউরালার গ্রামগুলোতে এক অজ্ঞাত ‘নগ্ন দল’-এর ত্রাস ছড়িয়েছে। একের পর এক নারীর ওপর হামলার চেষ্টা এবং তাদের নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। সর্বশেষ ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। প্রশাসন ড্রোনের সাহায্যে এলাকা নজরদারি করছে এবং সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

ভরালা গ্রামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আক্রান্ত নারী জানিয়েছেন, তিনি একা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথের মাঝে দুই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে নির্জন মাঠের দিকে নিতে চেয়েছিল। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তবে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আক্রান্ত নারী জানিয়েছেন, তারা সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ছিল। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে তিনি চাকরি পরিবর্তন করেছেন এবং অন্য পথে যাতায়াত করছেন।

গ্রামের প্রবীণরা জানিয়েছেন, এটি চতুর্থ ঘটনা। আগের ঘটনাগুলি লোকলজ্জার ভয়ে রিপোর্ট করা হয়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে। গ্রামের প্রধান রাজেন্দ্র কুমার বলেছেন, “প্রথমে কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এখন নারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই দল শুধু নারীই লক্ষ্য করছে।”

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গত শনিবার ড্রোনের সাহায্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে মাঠে তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বিপিন তাদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, “ড্রোন ও গ্রামবাসীর সহায়তায় তল্লাশি চালিয়েছি, তবে এখনো কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

তবে গ্রামে আতঙ্ক ছড়ালেও অনেকে এই ঘটনাকে গুজব বলে মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এটি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দুষ্টচক্রের ছল। তবুও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।

গ্রামে গ্রামে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় এসেছে প্রশাসনের ভূমিকা, নজরদারি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণই এখন প্রধান লক্ষ্য।