Languages

সৌরজগতে রহস্যময় অতিথি! কতটা বিপদে পৃথিবী?

মহাকাশ নিয়ে মানুষের কৌতূহল যেন অন্তহীন। সেই কৌতূহল মেটাতে নিরন্তর গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। দূর মহাকাশে নজর রাখতে আধুনিক টেলিস্কোপ থেকে শুরু করে মহাকাশযানের অভিযাত্রা— সব ক্ষেত্রেই মিলছে নতুন নতুন আবিষ্কার। এবার বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ধরা দিল এক অচেনা মহাজাগতিক বস্তু, যার নাম ‘থ্রি-আই/অ্যাটলাস’ (3I/ATLAS)।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই বস্তুটি কোনও সাধারণ ধূমকেতু নয়, বরং একটি ইন্টারস্টেলার ধূমকেতু। অর্থাৎ এর জন্ম আমাদের সৌরজগতের ভেতরে নয়, বরং অন্য কোনও নক্ষত্রমণ্ডল থেকে ছুটে এসে আপাতত সূর্যের আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

নাসার স্ফেয়ারএক্স (SPHEREx) টেলিস্কোপ গত ৭ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ধূমকেতুটিকে টানা পর্যবেক্ষণ করেছে। এই পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে যে, ধূমকেতুর শরীরে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড রয়েছে। পাশাপাশি বরফ, কার্বন ও মনোক্সাইডও মিলেছে, তবে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে। শুধু তাই নয়, নাসার আধুনিক জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও (JWST) নজর রেখেছিল এটির গতিপথের দিকে। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, কুইপার বেল্টের ধূমকেতুগুলির সঙ্গে এর গঠনগত সাদৃশ্য রয়েছে।

প্রথমবার এই ধূমকেতুকে দেখা যায় ১ জুলাই। তখনই বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, এটি ঘণ্টায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মাইল বেগে ধেয়ে আসছে। বিশাল আকারের এই ধূমকেতুর ব্যাস প্রায় ১৫ মাইল— যা আকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন শহরের থেকেও বড়। আবিষ্কারের শুরুর দিকে একাংশের ধারণা ছিল, এটি হয়তো ভিনগ্রহীদের কোনও মহাকাশযান। তবে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পর সেই জল্পনা প্রায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে— এই ধূমকেতু কি আমাদের পৃথিবীর জন্য বিপদের কারণ হতে পারে? বিজ্ঞানীরা অবশ্য আশ্বস্ত করছেন। তাঁদের মতে, ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ মেনে সৌরজগত অতিক্রম করবে। পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের কোনও আশঙ্কা নেই।