ওয়েব ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর ধরে জাতিহিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। কুকি-মেতেই সংঘাতের বলি হয়েছেন বহু মানুষ। শান্তি ফেরাতে লাগাতার চেষ্টা হলেও দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বারবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে যেন মণিপুরে যান। বিরোধীদের লাগাতার চাপের পর মণিপুরে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর সফরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মণিপুরে শেষবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পা পড়েছিল ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। তারপর ২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্যজুড়ে জ্বলে ওঠে জাতিগত সংঘর্ষের আগুন। প্রাণ যায় শতাধিক মানুষের, হাজার হাজার পরিবার হারায় ঘরবাড়ি। দুই বছর পেরিয়েও অশান্তির ছায়া কাটেনি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই সময়ে বিদেশ সফর কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা সবেতেই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু মণিপুরে যাওয়ার সময় বের করতে পারেননি তিনি। মণিপুর ইস্যুতে লোকসভা অধিবেশন থেকে শুরু করে সাংবাদিক সম্মেলন, প্রতিবারই এই প্রশ্নে বিঁধতে হয়েছে মোদিকে।
সূত্রের দাবি, আগামী মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ আরও বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান চাপই হয়তো তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই সফরের কথা ঘোষণা করা হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ মে কুকি এবং মেইতেই মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল মণিপুর। প্রাণ হারান প্রায় ২৫০ জন মানুষ, ঘরছাড়া হয়ে ৬০,০০০ এরও বেশি মানুষ আজও শরণার্থী শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন।