দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। কখনও বিরোধী নেত্রী, কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, আর গত দেড় দশক ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রাজনীতি ও প্রশাসনের ব্যস্ততা সামলেও সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা যে তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা বারবার প্রমাণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শতাধিক বইয়ের লেখিকা মুখ্যমন্ত্রী এবার লিখতে চলেছেন এক বিশেষ বই—ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা নিয়ে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “আমি আটবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। কখনও রেল, কখনও কয়লা, কখনও নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক সামলেছি। অনেক প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখেছি। এবার একটা বই লিখব—কে কেমন ছিলেন, যাকে যেমন দেখেছি। সব লেখা সম্ভব নয়, তবে কিছু অভিজ্ঞতা বইয়ে থাকবে। আগামী বইমেলায় সেটি প্রকাশিত হবে।”
রাজনীতির মঞ্চে তাঁর যাত্রা শুরু কংগ্রেস যুবনেত্রী হিসেবে। সেখান থেকে ১৯৮৪ সালে ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়ে প্রথমবার লোকসভায় প্রবেশ। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়ে কাজ করেছেন একাধিক প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। বিশেষ করে অটল বিহারি বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল গভীর সৌহার্দ্যের। বাজপেয়ী তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক জীবনে একাধিক সময়ে ভরসা রেখেছিলেন। এছাড়া পি.ভি. নরসিমা রাও সরকারের সময়ও তিনি নারী ও শিশুকল্যাণ এবং ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন।