ওয়েব ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে ছাত্রী ঈশিতা মল্লিকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। অভিযুক্ত দেশরাজ সিং, খুনের আগের দিন রবিবারই তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে যাচ্ছেন। টিকিট কেটে ট্রেনেও উঠেছিলেন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে পরদিনই সোমবার কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় তরুণীর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ দেশরাজের বিরুদ্ধে।
সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন প্রেমিকা। কোনওভাবেই এটা মেনে নিতে পারছিল না প্রেমিক দেশরাজ সিং। তাই সোজা বাড়িতে গিয়েই গুলি তালিয়ে প্রেমিকা খুন করে সে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই কাঁচরাপাড়া ছেড়ে সপরিবারে চলে প্রেমিকার পরিবার এসেছিলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। প্রেমিকাকে বাগে আনতে না পেরে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।শেষপর্যন্ত প্রেমিকাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল বছর তেইশের ওই যুবক। সোমবার দুপুরে কৃষ্ণনগর শহরের মানিকপাড়ায় ঈশিতার বাড়িতে ঢোকার সময় তার হাতে ছিল নাইন এমএম পিস্তল। দোতলার বেডরুমে ঢুকে প্রেমিকার মাথা লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায় দেশরাজ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত ছাত্রীর মাথার ডানদিকে দু’টি গুলির আঘাত রয়েছে। ছাত্রী খুনের পর একদিনের বেশি সময় কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি দেশরাজের।
জানা গিয়েছে, পারিবারিকভাবে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা দেশরাজরা। খুনের পর সে যোগীরাজ্যেই গা-ঢাকা দিয়েছে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গোরক্ষপুর ও পার্শ্ববর্তী দেওরিয়াতে খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে রাজস্থানের জয়সলমিরে বিএসএফে কর্মরত দেশরাজের বাবাকে।