ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কবৃদ্ধির পর বিশ্ব রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত মিলছে। বিশেষ করে ভারত, রাশিয়া ও চীনের কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই প্রেক্ষাপটেই আসন্ন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনে এক মঞ্চে বসতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হবে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন।
সাত বছরেরও বেশি সময় পর নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার চীন সফরে যাচ্ছেন। এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন আরও ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষনেতারা, যার মধ্যে রয়েছেন মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতারাও। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে প্রত্যাশা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
গত বছর রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে মোদি ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন পুতিন। তখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে এড়িয়ে চললেও ভারত ও চীনের উপস্থিতি মস্কোর জন্য কূটনৈতিক স্বস্তি এনে দেয়। রাশিয়ান দূতাবাস ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, শিগগিরই ভারত-চীন-রাশিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
চীন এই সম্মেলনকে ব্যবহার করতে চাইছে একটি বিকল্প কাঠামো প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে, যা মার্কিন প্রভাববলয়ের বাইরে অবস্থান করবে। ফলে তিয়ানজিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলন শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতির দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।