Languages

দেশে দেশে অস্ত্র কারখানা! ইরানের প্ল্যান শুনে মাথা ঘুরছে ইজরায়েলের?

ইজরায়েলের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ফের আগ্রাসী ইরান। এবার বিশ্বের একাধিক দেশে গোপন অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছে তেহরান। তবে আপাতত সেগুলির অবস্থান প্রকাশ করা হবে না বলে জানালেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদেহ বলেন, ‘‘উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিই এখন ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য। খুব শিগগিরই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অস্ত্র কারখানাগুলির নাম ঘোষণা করব।’’ তিনি আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ইরান তাদের আধুনিক কাসেম বসির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। তাঁর কথায়, ‘‘যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার হত। ইজরায়েল কোনও ভাবেই সেগুলি ধ্বংস করতে পারত না।’’

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। পরের দিনই পালটা আঘাত হানে তেহরান। ইরানের সেনা চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি-সহ একাধিক শীর্ষ সেনা আধিকারিক এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয় ইজরায়েলি হামলায়। জবাবে একাধিক মিসাইল হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আভিভ-সহ গোটা ইজরায়েল।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ২২ জুন, যখন সরাসরি যুদ্ধে নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বায়ু হামলা চালায় আমেরিকা। জবাবে মার্কিন ঘাঁটি ও ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

তীব্র সংঘাতের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ঘোষণাতেই ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।