ওয়েব ডেস্ক: এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া নিয়েই ছিল জল্পনা। অবশেষে ঘোষিত স্কোয়াডে নাম উঠেছে রিঙ্কু সিংয়ের। তবে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁকে অতিরিক্ত ব্যাটার হিসেবেই রাখা হয়েছে। ফলে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এখনও মেলেনি, কিন্তু মাঠে নেমে ব্যাট হাতে যেন স্পষ্ট বার্তা দিলেন রিঙ্কু—তিনি পুরোপুরি তৈরি।
উত্তরপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে গোরখপুর লায়ন্সের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন এই তরুণ ব্যাটার। মাত্র ৪৮ বলে ১০৮ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দেন তিনি। একের পর এক ছক্কায় ভরিয়ে দেন মাঠ। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুধু ব্যক্তিগত মাইলফলকেই স্পর্শ করেননি, বরং দলকেও এনে দেন জয়। তাঁর ব্যাটিংয়ের উপর ভর করেই মীরাট মাভেরিকস ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে।
প্রথমে ব্যাট করে গোরখপুর লায়ন্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মীরাট মাভেরিকস। মাত্র ৮ ওভারেই দলের স্কোর ৩৮, আর চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কিন্তু সেখান থেকে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন রিঙ্কু। ২২৫-এর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলে তিনি বুঝিয়ে দেন, শেষ দিকে ম্যাচ ফিনিশ করার মতো ধৈর্য এবং ক্ষমতা তাঁর হাতেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, যশ দয়ালের এক ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে আইপিএলে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে উঠেছিলেন রিঙ্কু। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। তবে জাতীয় দলের জায়গা নিয়ে তাঁর পথচলা খুব একটা মসৃণ হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে গিয়েছিলেন তিনি। আইপিএল ২০২৪-এও খুব বেশি সুযোগ পাননি—খেলেছিলেন মাত্র ১১৩ বল।
এখন বড় প্রশ্ন, ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকায় কতটা আস্থা রাখবেন নতুন হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, যিনি কেকেআরের মেন্টর থাকাকালীনও তাঁকে নিয়মিত ব্যবহার করেননি। ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পরেও তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, এশিয়া কাপে প্রথম একাদশে ‘অটোমেটিক চয়েজ’ হবেন রিঙ্কু সিং। তবে তাঁর এই ব্যাটিং যে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে স্পষ্ট বার্তা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।