ভারত মহাকাশ অভিযানের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার পর ইসরো শুক্রবার নয়াদিল্লিতে প্রকাশ করল ভবিষ্যৎ মহাকাশ স্টেশনের মডেল। নাম দেওয়া হয়েছে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন (Bharatiya Antariksh Station – BAS)। ২০৩৫ সালের মধ্যেই এই স্টেশন মহাশূন্যে স্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা। আর ২০৪০ সালের মধ্যে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারীর চাঁদের মাটিতে পদচিহ্ন রাখার লক্ষ্য নিয়েছে দেশ।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এবং চিনের ‘তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশন’ কার্যকর রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতও। মহাকাশে গবেষণা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সরাসরি অংশ নিতে এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
গত কয়েক বছরে ইসরো বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে একাধিক সাফল্যের মাধ্যমে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইতিহাস গড়েছে। সূর্য অধ্যয়নে পাঠানো হয়েছে আদিত্য-এল১। আরও সামনে রয়েছে মানুষের মহাকাশযাত্রা কেন্দ্রিক ‘গগনযান মিশন’। এসবের ধারাবাহিকতাতেই এবার মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের স্বপ্ন দেখছে ভারত, যা যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের সঙ্গে সমানে টক্করের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়া সম্প্রতি নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘নিসার’ উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে। প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র, বনভূমি ও বরফস্তরের পরিবর্তন নজরদারিতে সক্ষম। অসমে প্রতি বছরের বন্যা কিংবা হিমালয়ের হিমবাহ গলনের গতি সম্পর্কে অগ্রিম তথ্য দিতেও এটি বিশেষ কার্যকর হবে।