ওয়েব ডেস্ক: এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। মূল কারণ—দলে জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ার এবং যশস্বী জয়েসওয়ালের মতো ফর্মে থাকা দুই ব্যাটারের। শ্রেয়স গত আইপিএলে করেছেন ৬০৪ রান, যশস্বী করেছেন ৫৫৯ রান। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স সত্ত্বেও তাঁদের দলে না নেওয়ায় প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর অবশ্য বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেই এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ার মনে করছেন, পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণেই শ্রেয়স বাদ পড়েছেন। যশস্বীর ক্ষেত্রে যুক্তি দেখানো হয়েছে, তিনি বল করতে পারেন না। অথচ একই দলে অক্ষর পটেলের মতো বাঁহাতি স্পিনার রয়েছেন। সেক্ষেত্রে আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার নেওয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শ্রেয়সকে নিয়ে নির্বাচন কমিটির ব্যাখ্যা আরও অস্পষ্ট। আগরকর বলেছেন, দল গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর সীমাবদ্ধতাই সামনে এসেছে। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতার খেসারত কি তবে দিলেন শ্রেয়স আইয়ার?
বিশ্লেষকদের মতে, শুভমান গিল ও শ্রেয়স আইয়ার—দুজনেই একই ধরনের ব্যাটার। দুজনেই নামেন তিনে, দুজনেই ধীরগতিতে শুরু করে পরে আক্রমণাত্মক হন। টি-২০ ক্রিকেটে যেখানে প্রথম বল থেকেই আক্রমণ চালানো জরুরি, সেখানে দুজন ‘সাবেকি’ স্টাইলে খেলা ব্যাটারকে রাখাটা বিলাসিতা বলেই মনে করছেন অনেকে। সেজন্যই অভিষেক শর্মার মতো আক্রমণাত্মক অলরাউন্ডারকে দলে রাখা হয়েছে।
তবে এসব বিশ্লেষণ ও যুক্তির আড়ালে থেকে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—শ্রেয়স আইয়ারের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কোন পথে এগোচ্ছে? বিশ্বকাপ ২০২৭-এ আদৌ তাঁকে ভাবা হচ্ছে কি? আইপিএল বা ঘরোয়া ক্রিকেটে যত রানই করুন না কেন, নির্বাচকদের আস্থা তিনি ফিরে পাবেন তো? নাকি ধীরে ধীরে জাতীয় দলের পরিকল্পনার বাইরে চলে যাচ্ছেন তিনি?