Languages

রাহুলের ‘ভোট চুরি’ অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের

ওয়েব ডেস্ক: বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। সেখানে কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারতের নির্বাচন কমিশন। রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার একটি বড় মন্তব্য করেছেন। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তিনি বলেছেন যে নির্বাচন কমিশন এবং ভোটার তালিকা সম্পর্কে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। যদি তাঁর দাবির প্রমাণ থাকে, তাহলে ৭ দিনের মধ্যে একটি হলফনামা দিতে হবে, অন্যথায় তাঁকে পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ভোটারদের কাঁধে বন্দুক রেখে কমিশনকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের।

ভোটার তালিকার ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই মেগা সানডে। একদিকে এসআইআর সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করল নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে ভোটচুরির অভিযোগে পথে নেমেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কমিশন কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না। কমিশন নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনই মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞাণেশ কুমার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটি পিপিটি দেখানো, যার কাছে নির্বাচন কমিশনের তথ্য নেই, এবং ভুল বিশ্লেষণ করে বলা যে একজন মহিলা দুবার ভোট দিয়েছেন, এটি অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। নির্বাচন কমিশন হলফনামা ছাড়া এই ধরনের গুরুতর অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না, কারণ এটি সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের বিরুদ্ধেই হবে।’

রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সকল ভোটারকে অপরাধী বানানো হচ্ছে আর নির্বাচন কমিশন চুপ করে আছে? এটা সম্ভব নয়। হলফনামা দিতে হবে, দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তৃতীয় কোনও বিকল্প নেই। যদি সাত দিনের মধ্যে হলফনামা না পাওয়া যায়, তাহলে এর অর্থ হল এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। জ্ঞানেশ কুমার রাহুলকে নিশানা করে বললেন, “কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণকে নিশানা করে রাজনীতি চলছে। সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে মিথ্যাকে সত্যি করা যাবে না। কারও মিথ্যা অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ভয় পায় না।”