ওয়েব ডেস্ক: নির্যাতনের চরমসীমায় পৌঁছে গিয়েছে পালঘরের ঘটনা। জোর করে ১২ বছরের নাবালিকাকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে আটকে রেখে তিন মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, জুলাই মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশের সাহায্যে মানব পাচার বিরোধী ইউনিট, এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের সাহায্য একটি অভিযান চলে। সেই সময় সময় নাইগাঁও থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া দশজনের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশী ও দুজন ভারতীয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে আরো দুজন রয়েছে। নির্যাতিতাকে নভি মুম্বাই, মহারাষ্ট্রের পুনে এবং গুজরাটের নাদিয়াদ সহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণীতে উঠেছিল। কিন্তু বাড়ি থেকে মা-বাবার বকা খেয়ে পালিয়ে এসেছিল সে। প্রথমে এক মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই মহিলা তাকে ভুল বুঝিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসে। এরপর দালাল মারফত সে মুম্বাইতে পাচার হয়ে যায়।
নাবালিকার অভিযোগ, পতিতা বৃত্তি করতে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। তাঁর শরীরে একাধিক পোড়া দাগ রয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে নাবালিকা। তিন মাস ধরে তার ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, নির্যাতিতাকে প্রায় ২০০ জন ধর্ষণ করেছে।