ওয়েব ডেস্ক: ভোটার লিস্টে ‘কারচুপি’-র অভিযোগ। ঘটনায় বারুইপুর পূর্ব ও ময়নার ERO-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার কমিশনের নির্দেশ নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেনম, বাংলার মানুষের ভোটাধিকার কাড়ার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং তাঁরা নির্লজ্জ হয়ে কাজ করছে। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ করছে। সরকারের কাজে বাধাদানেরও অভিযোগ তুললেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের পরপর কিছু কাজ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি দুই ডব্লিউ বি সি এস অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই ইস্যুতে গর্জে উঠেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে একই সুরে কমিশনকে বিঁধলেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তখনই বর্তায়, যখন আদর্শ আচরণবিধি ঘোষণা হয়। কমিশন রাজ্যের প্রশাসন নিজের হাতে নিয়ে চালায়, যাতে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হয়।এখনও বাংলার নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস দেরি। কিন্তু বিগত এক-দেড় বছর ধরে বাংলার সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। কার্যত এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে তাঁরা। আর এর ফায়দা পাচ্ছে বিজেপি।
অভিষেক অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন রাজ্যকে কাজ করতে না দিয়ে বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ করে দেবে বলে কাজ করছে। বিজেপি এটা চাইছে, যাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা যাতে প্রত্যেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে। নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে। অভিষেকের অভিযোগ, বিচারব্যবস্থাকেও ঠিক একই ভাবে কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি। তিনি বলেন, “২০২১ সাল থেকে আজকে পর্যন্ত- এই চার বছরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্র সরকার প্রভাব খাটিয়েছে, তা বাংলার মানুষ দেখেছে।”