ওয়েব ডেস্ক: ফের প্রকৃতির রুদ্ররূপে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তর কাশী। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধারালী গ্রামে আচমকা নেমে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গ্রামের অনেক অংশ। শুধু উত্তরকাশী নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ডের আরও কয়েকটি জেলা। পাহাড়ি নদীতে হঠাৎই নেমে আসে কাদা-পাথরের প্রচণ্ড স্রোত। জলের সঙ্গে মিশে আসা কাদা ও পাথরের ধাক্কায় ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি ও হোটেল। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ। বুধবারও বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জারি লাল সতর্কতা। সেই আবহে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ন’জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের হড়পা বানের জেরে বিপর্যয়ের নেমে এসেছে ধরালী গ্রামে। এই গ্রামটি গঙ্গোত্রীর কাছেই অবস্থিত। প্রবল স্রোত গ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে কাদা, জল ও পাথরের ভয়ঙ্কর স্রোত। মুহূর্তের মধ্যে পাহাড়ের ঢালে থাকা বাড়িগুলি ধসে নদীতে মিশে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হওয়া এই বিপর্যয়ের বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই ভয়াবহ দৃশ্য।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড়ের কোনও অংশে বিশাল ভূমিধস নেমেছে। সেই ধসের কাদা-পাথর সরাসরি নদীতে মিশে গিয়ে স্রোতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে নদী প্লাবিত হয়ে গ্রামে প্রবেশ করেছে এবং বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে, তবে প্রতিকূল আবহাওয়া এবং দুর্গম ভূপ্রকৃতির কারণে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরকাশী-হর্ষিল সড়কে ধস নেমেছে। ফলে ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অংশ বন্ধ। প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনাও এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য চারটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারগুলিকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্তা।