ওয়েব ডেস্ক: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কে কথা বলার সুযোগ দিতেন না, নিজেই সব বলতেন। এমনই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের একাংশ। যদিও এই অভিযোগ যাচাইযোগ্য নয়, তবে লোকসভার সচিবালয় জানাচ্ছে, অষ্টাদশ লোকসভায় তিনি ইতিমধ্যে ১৯টি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন, যা জাতীয় গড় ১২.৩ ও রাজ্য গড় ৭-এর চেয়ে অনেক বেশি। মহুয়া মৈত্র সাতটি ও সায়নী ঘোষ ন’টি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি লোকসভার চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, লোকসভায় তিনিই একা কথা বলেন। অন্য কেউ দায়িত্ব নেয় না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হন না, কাকলি ঘোষ দস্তিদার মাঝেমধ্যে আসলেও অনেক সময় আসেন না। হাতে কোন কয়েকজন লোকসভায় হাজির থাকেন। সব দায়িত্ব তিনি একা সামলাবেন কি করে? এই ভাবেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে খুব উগ্রে দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার চিফ হুইপের পর থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরেই তার কাছে ফোন এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তার আগেই কল্যাণের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে চিফ হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
এরপরই তৃণমূলের সাংসদদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তাঁরা বলেছেন, লোকসভায় কথা বলার সুযোগই দিতেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব একাই করতেন।