ওয়েব ডেস্ক: ১৪ দিন যুদ্ধে করে হেরে গেল পুরীর দ্বগ্ধ কিশোরী। ২০ জুলাই থেকে দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই কিশোরী। গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই খবর জানান।
পুরীর কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার। তাঁর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ৭৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাওয়া সেই কিশোরীকে প্রথমে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লি এমসে স্থানান্তর করানো হয়। দু’সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলার পর শনিবার মৃত্যু হয়েছে তার। শনিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “বালানগা ঘটনায় নির্যাতিতার মৃত্যুর খবরে গভীর শোকাহত। সরকার ও এইমস দিল্লির বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরও ওর জীবন রক্ষা করা গেল না।”
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল, তিন জন কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কিন্তু সেই পুলিশই এখন দাবি করছে, এই ঘটনায় কেউ জড়িত ছিলেন না। এমনকি, কিশোরীর বাবাও দাবি, কেউ গায়ে আগুন ধরিয়ে দেননি। তাঁর মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আর সেই অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে।