Languages

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্নার

ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একদিন পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি. দেবেগৌড়ার নাতি ও প্রাক্তন জেডিএস সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বেঙ্গালুরুর জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ আদালত। মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে সাজা কার্যকর হওয়ায় নজির সৃষ্টি হল।

গত বছর প্রজ্জ্বল রেভান্নার একাধিক অশ্লীল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, নিজের বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রেভান্না। দু’বার ফেরার টিকিট কেটে বাতিল করলেও শেষ পর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন জানানোর পর দেশে ফেরেন তিনি। কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে মাঝরাতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তিন মহিলা পুলিশ সদস্যের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

৩১ মে ইডির হাতে গ্রেপ্তারের পর থেকেই রেভান্নাকে নিয়ে আদালতের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে বিচার চলতে থাকে, যা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। আদালত তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।

এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ ছিল নির্যাতিতার জমা দেওয়া একটি শাড়ি। ফরেনসিক পরীক্ষায় শাড়িটিতে রেভান্নার ডিএনএ মিল পাওয়া যায়। এই প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত গত শুক্রবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে।

মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সাত মাসের মধ্যে ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করে বিচার সম্পন্ন হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন প্রজ্জ্বল রেভান্না। রায়ে আদালত স্পষ্ট জানায়, “প্রমাণ যথেষ্ট। অভিযুক্তের অপরাধের তীব্রতা বিবেচনা করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।”