ওয়েব ডেস্ক: লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, এপ্রিলে পহেলগাম হামলায় ২৬ জনকে হত্যা করা তিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে ২৮ জুলাই অপারেশন মহাদেবের মাধ্যমে খতম করা হয়েছে। এঁরা সকলেই লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি। এর মধ্যে সুলেমান শাহকে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই তিন জনকে খাবার জোগানো ব্যক্তিকে আগেই আটক করা হয়েছিল। শাহ জানান, জঙ্গিদের দেহ শ্রীনগরে আনা হয়। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নিরীহ নাগরিকদের তাঁদের পরিবারের সামনে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগামে। আমি এই বর্বর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই।ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ অভিযান ‘অপারেশন মহাদেবে’ পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীকে খতম করা হয়েছে।
এদিন সংসদে শাহ বলেন, অপারেশন সিঁদুর’র দ্বিতীয় দিন ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে নিকেশ করা হল। শাহ বলেন, “সন্ত্রাসবাদী হামলার কার্তুজের FSL রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রস্তুত।গতকাল, তিন সন্ত্রাসবাদীর রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। FSL রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে M9 আমেরিকান রাইফেল এবং দু’টি AK-47 উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর, নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এই তিনজনই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল। যারা সন্ত্রাসবাদীদের খাবার সরবরাহ করত, তাদের সবার আগে আটক করা হয়েছিল। এই সন্ত্রাসবাদীদের দেহ শ্রীনগরে আনার পর আটকেরা এই দেহগুলি শনাক্ত করে।”