ওয়েব ডেস্ক: ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিংয়ে বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান। তিনি বলেন, “২০ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তবে ৬ জনের দেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।”
সোমবারের এই দুর্ঘটনার সময় স্কুলের পঠনপাঠন চলছিল। অনেক ক্লাসেই শেষ পিরিয়ড চলছিল। হঠাৎ আকাশ থেকে একটি বিকট শব্দ শোনা যায়। পরক্ষণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্কুলের একটি অংশ। আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। যেখানেই বিমানটি আছড়ে পড়ে, সেই ভবনে ছিল ১৬টি শ্রেণিকক্ষ এবং ৪টি শিক্ষককক্ষ। বিমানটি মূলত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কক্ষের সামনে এসে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। আগুনে পুড়ে যায় ভবনের উল্লেখযোগ্য অংশ। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি ভেঙে পড়ে তখন ক্লাস চলছিল।বিমানটি ভেঙে পড়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটিতে আগুন ধরে যায়। সেই লেলিহান অগ্নিশিখায় ঝলসে যায় প্রায় ২০০ জন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছিলেন ১৭১ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ পড়ুয়া।