ওয়েব ডেস্ক: আইএআইএম ধর্ষণ কাণ্ডে ক্রমেই ধোঁয়াশা বাড়ছিল। কারণ একাধিকবার ডাকা হলেও গোপন জবানবন্দি দিতে আদালতে যাননি নির্যাতিতা।১৯ জুলাই আলিপুর আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে অভিযুক্তের। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করা হয়। রাজ্য ছেড়ে আপাতত যেতে পারবেন না অভিযুক্ত পড়ুয়া।
আইআইএম জোকা ছাত্রাবাসে বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই কলেজেরই ছাত্রের বিরুদ্ধে। তবে সময় যত এগোচ্ছে দানা বাঁধছে রহস্য। তৃতীয় দিনেও গোপন জবানবন্দি দিতে এলেন না আইআইএমের নির্যাতিতা। শুক্রবারে আলিপুর আদালতে নির্যাতিতা তরুণীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু সোম-মঙ্গলবারের মতো এদিনও তিনি আদালতে গরহাজির ছিলেন নির্যাতিতা।সোম-মঙ্গল-শুক্রবার তিনবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়া এড়িয়ে গেলেন নির্যাতিতা। বারবার গোপন জবানবন্দি দেওয়া থেকে এড়িয়ে যাওয়ার আইআইএমে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ধন্দ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। শনিবার অভিযুক্ত পড়ুয়ার পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আজ তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হয়।
অভিযুক্তের জামিনের আর্জি জানিয়ে আইনজীবী সুব্রত সর্দার বলেন, নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দি নিতে পারেননি এখনও পর্যন্ত। তিনবার গোপন জবানবন্দির জন্য নির্যাতিতাকে ডাকা হয়েছিল। কেন তিনি গোপন জবানবন্দি দিতে বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন? নির্যাতিতা কেন আসছেন না? পুলিশের কাছে এর ব্যাখ্যা নেই। তিনি আরও বলেন, “নির্যাতিতার প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার কথা বলা হলেও মেডিক্যালিগো পরীক্ষা এখনও করা হয়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে তবে পুনরায় অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাননি। সরকারি কৌঁসুলি এদিন আদালতে অভিযুক্তের জেল হেফাজত চান।এই আবহে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।