Languages

ভারতের স্মৃতিচারণ, মোদিকে নমস্কার, নেপাল থেকে এল বন্ধুত্বের বার্তা

ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ নেপালে গড়া হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যুব আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সেনার হাতে নেপাল। দেশ চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হল সুশীলা কারকিকে। নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি এখন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নিতে চলেছেন। গণ-আন্দোলনের মধ্যেই ৭১ বছর বয়সি এই আইনজ্ঞকে নেতৃত্বের জন্য বেছে নিয়েছেন জেন-জি প্রতিবাদে সামনের সারিতে থাকা তরুণ প্রজন্ম।

তিনি সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেন, আমি মোদিজিকে নমস্কার করতে চাই। আমার কাছে মোদিজির একটা ভালো ভাবমূর্তি আছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ নেই….অনেকদিন ধরেই। আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। যখন দু’দেশের মধ্যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন কয়েকজন একইসঙ্গে বসেন। আর নীতি তৈরি করেন।’ “ভারতের নেতারা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে। সুশীলা কার্কি ভারত ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) স্মৃতিচারণ করেছেন। সত্তরের দশকে তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনও আমার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বন্ধুদের কথা মনে আছে। আমার এখনও গঙ্গা নদীর কথা মনে আছে।

ভারত-নেপাল সম্পর্কের বিষয়ে সুশীলা বলেছেন, ‘সবসময় নেপালকে সাহায্য করেছে ভারত। আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সুশীলা বলেন, “তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ব্যাপারটা আলাদা বিষয়। ‘তবে নেপালের মানুষ এবং ভারতের মানুষের দুর্দান্ত সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কটা অত্যন্ত ভালো। আমাদের প্রচুর আত্মীয়-স্বজন, আমাদের প্রচুর পরিচিত লোকজন…আমাদের অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আছে।’ভারতের নেতারা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে। সেইসঙ্গে নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর বাড়ি যেখানে, সেখান থেকে ভারতের দূরত্ব মেরেকেটে ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটারের মতো)। নিয়মিত সীমান্তের বাজারেও যেতেন। তাঁর সেই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতদিন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যে কেপি শর্মা ওলি ছিলেন, তিনি চিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকী ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছিলেন। সেখান থেকে সুশীলা যে বার্তা দিলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।