Languages

শান্তি ফেরানোর চেষ্টা সেনার, দখল নিল বিমানবন্দর, সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ

ওয়েব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর এবার কি এবার সেনা শাসন করবে ভারতের এই পড়শি দেশ? জেন জি আন্দোলন কোন পথে? তা সময় বলবে। বর্তমানে নেপালের পরিস্থিতি খুব একটা শান্ত হয় নি।৪৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও উত্তাল নেপাল। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছে নেপাল সরকার। এরপরই একে একে পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী। কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর তাঁর বাসভবন লুট করা হয়। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীরা ত্রিভুবন বিমানবন্দর দখলের চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। তার পরেই বিমানবন্দর চারপাশ থেকে ঘিরে ফেরে সেনাবাহিনী। বর্তমানে আংশিক স্থগিত রয়েছে পরিষেবা।

নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যরাতে আলোচনায় বসেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবিদাওয়া শোনের সেনাপ্রধান। বুধবার নেপালের প্রেসিডেন্টের রামচন্দ্র পৌডেলের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনা হতে পারে। সেই প্রস্তুতি চলছে। এই আলোচনা বৈঠকে মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে নেপালের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের একাংশ বিমানবন্দর দখলের চেষ্টা করেছিল। তারপরই ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। বিমানবন্দর চারপাশ থেকে ঘিরে ফেরে সেনাবাহিনী। বর্তমানে আংশিক স্থগিত রয়েছে পরিষেবা। ইন্ডিগো ও নেপাল এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই দিল্লি- কাঠমান্ডু বিমান পরিষেবা স্থগিত রেখেছে।

পড়শি দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, পড়শি রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন জরুরি। ভারত-নেপাল সীমান্তেও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করা হয়েছে।