ওয়েব ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো। আনন্দময়ীর আগমনে আকাশ বাতাস হয়ে উঠবে মুখোরিত। মা কখনো ষড়ভুজা, কখনো অষ্টভুজা, কখনো তিনি অষ্টাদশভুজা। কিন্তু মহিষাসুরমর্দিনী বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভাসে দেবীর দশভূজা রূপটি। পুজোর ধৈর্য শুরু হয়ে গেছে সর্বত্রই। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সব জায়গায়। কিন্তু এই আনন্দময়ী মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরি করেন যারা? চাঁদের হাতে প্রাণ পান মা, কেমন আছেন তাঁরা?
কুমোরটুলি কলকাতার অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। এখানকার মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা বিশ্বখ্যাত। উনবিংশ শতকের শেষ ভাগে বড়বাজারে আগ্রাসনের শিকার হয়ে উত্তর কলকাতার মৃৎশিল্পীরা শহর ছেড়ে চলে যান। কিন্তু কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা টিকে যান। পরবর্তীকালে তারাই ধনী সম্প্রদায়ের বাড়ির প্রতিমা নির্মাণ শুরু করেন। বারোয়ারি পুজো থেকে শুরু করে বিদেশেও ঠাকুর যায়।
জানা গিয়েছে চলতি বছরেও এখন কুমোরটুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। এবার একচালার প্রতিমার কদর বেশি। সাবেকি প্রতিমা বাতিমের প্রতিমা হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু একচালার প্রতিমার বায়না এবারে বেশি এসেছে।তবে কড়া নিষেধাজ্ঞার জেরে এবার প্রতিমার সাজসজ্জায় থার্মোকল আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে শিল্পীদের মধ্যে।
কুমোরটুলি সূত্রের খবর, বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে যে এক চালার দুর্গা সেই কাঠামোতেই গড়ে উঠেছে মা দশভুজার মৃন্ময়ী মূর্তি। কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জানান, ‘এবার একচালার দুর্গা প্রতিমার বরাত মিলেছে তিন হাজারের উপর।’