পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে ভারতীয় সেনার চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস আলোচনায়। অভিযানে ব্রহ্মস মিসাইলের আঘাতে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইসলামাবাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। রানওয়ের একাধিক অংশে গর্ত তৈরি হয়, আশপাশের ভবন ভেঙে পড়ে, এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার ঘটনাও ধরা পড়ে স্যাটেলাইট চিত্রে।
পাকিস্তান সরকার প্রথমদিকে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও, আন্তর্জাতিক উপগ্রহ চিত্রে ক্ষতির স্পষ্ট প্রমাণ সামনে আসে। তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ঘাঁটিটি। তবে সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ছবি ঘিরে ফের সরগরম আন্তর্জাতিক মহল।
জিও ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ডামিইন সাইমন জানিয়েছেন, চলতি বছরের মে মাসে যে অংশগুলো ভারতীয় আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেখানেই নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। শুধু রানওয়ে নয়, ভেঙে ফেলা পুরনো সামরিক ভবনের জায়গাতেও নতুন কাঠামো তৈরি হচ্ছে। এমনকি ঘাঁটির চারপাশে নতুন দেওয়াল তুলতেও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নূর খান এয়ারবেসকে পাকিস্তানের বায়ুসেনার অন্যতম কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। অভিযানের পর ভারতীয় সেনা দাবি করেছিল, এই আঘাতেই কার্যত “মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল” পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর। এখন আবার নতুন নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় ঘাঁটিটির গুরুত্ব আরও একবার সামনে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নূর খান ঘাঁটির পুনর্গঠন পাকিস্তানের সামরিক পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েও জল্পনা বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।