Languages

কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেশরাজ উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার

ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে কৃষ্ণনগরে ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। সোমবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গোপন ডেরা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ।
গতকাল বরিবার বিকালে তাকে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার নওতানওয়া থানা এলাকার নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার তাকে কৃষ্ণনগর নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন তাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। হোটেল ভাড়ার জন্য কার্তিক নামে জাল আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল মামা কুলদীপ সিং। হোটেলের ফোন থেকে বাবাকে ফোন। হোটেল মালিককে টাকা পাঠাতেন বাবা। সেই টাকা নিয়ে নতুন মোবাইল কিনেছিল। টাকা পাঠানোর সূত্র ধরে পুলিশ সেখানে যায়। এরপর একের পর তথ্য নিয়ে দীর্ঘ টানা পূরণের পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এর পাশাপাশি দেশরাজের বাবাকে হাউস এরেস্ট করেছে বিএসএফ। তাকেও গ্রেফতার করে আনা হবে।

প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে চাওয়ায় প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে দেশরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে। এদিকে দেশরাজের দুই আত্মীয় দঙ্গল সিংহ ও মঙ্গল সিংহের বিরুদ্ধে খুন-সহ প্রায় ৪০টি অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে দেশরাজের দাদু সরযূপ্রসাদ সিং আবার গোরক্ষপুরের দাপুটে ‘মুখিয়া’। এই আবহে দেশরাজ সেখানে থাকতে পারে বলে মনে করছিল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশে, নিজের ডেরায় কোথাও আত্মগোপন করতে পারে, এই সন্দেহে কৃষ্ণনগর পুলিশের আলাদা তিনটি দল সেখানে যায়। দেশরাজকে পাকড়াও করতে কার্যত চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়।খুনের পর এই মামাকেই ফোন করেছিল দেশরাজ। মামা তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল বলেও অভিযোগ।

রবিবারই দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেই দেশরাজের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপর পুলিশ দপুলিশকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, নেপালে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল সে। তার আগেই রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে দেশরাজকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। সোমবার রানাঘাট আদালতে তাকে পেশ করার সম্ভাবনা।