Languages

রুজিরা মামলায় সংবাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিরাট মন্তব্য হাইকোর্টের

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্য প্রচারিত হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ আজীবন বহাল থাকতে পারে না। তার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত।”

বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, ১৯ জুন ২০২৪ তারিখে কো-অর্ডিনেট বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি যুক্তি দেন, সংবাদমাধ্যম একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে খবর প্রকাশ করেছিল, যেখানে সমালোচনাও ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একজন রাজ্যের উঠতি নেতার স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা হলে সেটি কি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী হতে পারে?” রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ মার্চ ২০২৪-এ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি হয়েছিল।

বিচারপতি মান্থা পর্যবেক্ষণ করেন, “এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দীর্ঘ সময় ঝুলে রইল। সাধারণত এমন নির্দেশের মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকে।” আদালত আরও জানায়, সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। প্রকাশিত তথ্য তদন্তকারী সংস্থা ব্যবহার করলেও সেটি সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণের কারণ হতে পারে না। ফলে এই মামলায় আদালত হস্তক্ষেপ করতে চায় না।

ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর ২০২৩-এর অন্তর্বর্তী নির্দেশ ১৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর মধ্যে মামলার চূড়ান্ত শুনানি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে।