Languages

আরজিকর ভাঙচুরে মামলায় জামিন পেলেন মীনাক্ষীসহ ৮ জন

ওয়েব ডেস্ক: গত বছর ১৪ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের ভাঙচুর মামলায় কলকাতা পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে নাম রয়েছে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ মোট ৫৪ জনের। ভাঙচুরের ঘটনায় শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেলেন সিপিএম-এর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়সহ আট বাম নেতানেত্রীকে। আটজনের নামে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আটজনেই। আদালত সমস্ত মামলায় জামিন মঞ্জুর করে সকলকে।

আরজি কর হাসপাতালের ভাঙচুর মামলায় চার্জশিট দাখিল করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত চলাকালীন হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের তরফে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চাওয়া হয়। সম্পত্তি ভাঙচুর নয়, চিকিৎসক ও উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে। ঘটনার পরই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একাধিক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
এই মামলায় জামিন পেয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও দিধীতি রায়, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, পৌলবী মজুমদার, কলতান দাশগুপ্ত, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, মহিলানেত্রী দীপু দাস এবং বিকাশ ঝা। আট জনের নামে মোট মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি মামলা টালা থানায় দায়ের করা হয়। অন্যটি দায়ের করা হয় উল্টোডাঙা থানায়।

আরজিকর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়ার চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষকে ডাকা হয় হেয়ার ট্রিট থানায়। ২ অক্টোবর ২০২৪ মহালয়ার মহামিছিল নামক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে চিকিৎসকেরা। আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সেই প্রতিবাদ মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ হয়ে রানী রাসমণি রোড পর্যন্ত করা হয়। এই কারণেই ডাকা হয় এই ডাক্তারকে বলে জানা যাচ্ছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার বাইরে প্রতিবাদ জমায়েতের করে চিকিৎসাকেরা। অভয়া মঞ্চ, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডকটরস ফ্রন্ট , জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের ব্যবহার খুবই সহনশীল বলে জানান জুনিয়ার চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষ। মূলত ২ অক্টোবর ২০২৪ এর প্রতিবাদ মিছিলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয় পুলিশের তরফ থেকে বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকের। উল্লেখ্য এর আগেও বউবাজার থানায় এই জুনিয়র চিকিৎসককে প্রতিবাদ সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টরস ফ্রন্টের কর্মসূচির ব্যাপারে, কারা এই সংগঠন চালান, তাদের টাকা পয়সা কিভাবে আসে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয় তাকে।