ওয়েব ডেস্ক: শোকের ছায়া টলিউডে। প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার, ১১টা ৩৫ নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই মুহূর্তে অভিনেতার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ১৫ অগস্ট তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। ১৭ অগস্ট ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। অভিনেতার সহকারী ছোটু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। আপাতত হাসপাতালেই রয়েছে অভিনেতার মরদেহ ।
শেষ কয়েকবছর সেভাবে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও, জয় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জয়। এরপর উলুবেড়িয়া থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে টিএমসি-র বর্তমান সাংসদ সাজদা আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছিলেন তিনি আর বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করবেন না। যদিও ২০২১ সাল নাগাদ মনোমালিন্যের কারণে পদ্মশিবির ছেড়ে দেন।
১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম জয়ের। বিদেশ সরকার পরিচালিত অপরূপা (১৯৮২) ছবিতে দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। কাজ করেছেন হীরক জয়ন্তী, জীবন মরণ, অভাগিনী, মিলন তিথি, সিঁথির সিঁদুরের মতো ছবিতে। একসময় অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জয়। দুই বাড়িতে মেনেও নেয় এই সম্পর্ক। বিয়ের কথাও হয়। তবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ‘অভাগিনী’ আর ‘হীরক জয়ন্তী’ দুটো ব্লকবাস্টার ছবিতে কাজ করেছিলেন জয় আর চুমকি। তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে আর একসঙ্গে কাজ করেননি। ‘চপার’ ছবিতে তাঁর অভিনয় বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছিল দর্শক মহলে। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।