ওয়েব ডেস্ক: আহমেদাবাদকে ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয়। কারণ গুজরাতের এই শহর এবং তার আশেপাশে বস্ত্র শিল্পের রমরমা। তবে সেই বস্ত্রের যোগানে এবার ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের তুলা শিল্পে নেমেছে অস্বাভাবিক মন্দার ছায়া। বছরের শীর্ষ মৌসুমে যেখানে জিন্নিং ইউনিটগুলোতে জোরকদমে কাজ হওয়ার কথা, সেখানে দেখা মিলছে উল্টো ছবির। গুজরাতে প্রায় ৬০ শতাংশ জিনিং ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে শুধুমাত্র কাঁচামালের অভাবে। মহারাষ্ট্রেও একই চিত্র ধরা পড়েছে।
সাওরাষ্টা জিনার্স অ্যাসোসিয়েশন–এর সাধারণ সম্পাদক হিতেশ রুঘানি জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ১,৩০০ ইউনিটের মধ্যে কেবল ৪০ শতাংশ চালু আছে। তিনি বলেন, “এই প্রথম এত বিপুল সংখ্যক ইউনিট বন্ধ থাকতে দেখছি।”
জানা যাচ্ছে, গুজরাতের কৃষকেরা তুলা বিক্রি করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। আগের কয়েকবছর রেকর্ড দামে তুলা বিক্রি হলেও বছরের পর বছর কমেছে সেই দাম। ফলে কৃষকরা বিপুল পরিমাণ তুলা নিজের কাছে জমিয়ে রেখেছেন। লিম্বডির শিল্পপতি অপুর্ব শাহ বলেন, “এখন সাধারণত প্রতিদিন ৫০ হাজার বেল তুলা বাজারে আসে, এ বছর সেই সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও কম। আমাদের ধারণা, গুজরাতের কৃষকেরা বর্তমানে প্রায় ৭২ লাখ বেল তুলা মজুত করে রেখেছেন।”
আর কাঁচামালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে পুরো বাজারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গুজরাতে তুলা আগমন প্রায় ৮ শতাংশ এবং দেশজুড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সরবরাহের ঘাটতিতে তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষকেরা দ্রুত তুলা বিক্রি না করলে গুজরাতের জিনিং শিল্পে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। শুধু দেশীয় বাজার নয়, বৈদেশিক বাণিজ্যেও ভারত পিছিয়ে পড়তে পারে।