ওয়েব ডেস্ক: প্রযুক্তির সাহায্যে যুগ উন্নত হয়েছে। না ছোঁয়া জিনিসগুলো মানুষ ছুঁয়ে আসতে পারছে। কিন্তু সমাজের চিন্তাধারা কি আদৌ বদলেছে? যতই বুক বাজিয়ে মানব সভ্যতার নিজের গুনগান করুক, কোন দিক থেকেই নিজেদের উন্নত বলে দাবি করতে পারে না তাঁরা। বর্তমান সময়ে এসেও পণের জন্য মৃত্যু হয় গৃহবধূর। গ্রেটার নয়ডা থেকে এমনই মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল শশুর বাড়ি। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায়, গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত গৃহবধূ বছর ২৮-র নিকি। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পেট্রোল দিয়ে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বিবাহিত দাদরির রূপবাসের বাসিন্দা নিকি দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বিপিন ভাটি মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। অনলাইনে একটি ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এখন সময়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিকি বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে জ্বলন্ত অবস্থায় নেমে আসছে। তার সারা গায়ে আগুন লেগে গিয়েছিল।
নিকিকে প্রথমে ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে নিকির। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত বিপিন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতি মধ্যেই অভিযুক্ত বিপিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতার করার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ।
গ্রেটার নয়ডায় পণের জন্য বধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কী ভাবে মাকে তার বাবা, জেঠু, ঠাকুমা এবং দাদু মিলে খুন করেছে, পুলিশের কাছে সেই বর্ণনা দিয়েছে বিপিন এবং নিকির ছেলে। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন নিকির স্বামী বিপিন। তবে তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বিপিন দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তার পর সমাজমাধ্যমে নিকিকে উদ্দেশ করে একটি পোস্ট করেন, ‘‘তুমি কেন এ কাজ করলেন নিকি? মনের কথা কেন আমাকে খুলে বললে না? কেন আমাদের ছেড়ে এ ভাবে চলে গেলে? এখন তো লোকে আমাকে হত্যাকারী বলে ডাকবে?’’