ওয়েব ডেস্ক: ভোটার তালিকায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের চার অফিসারকে সাসপেন্ড করে দিল নবান্ন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তও করা হবে। বারুইপুর ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করতেই হল রাজ্য সরকারকে।
ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে গত ৫ অগস্ট ওই চার অফিসারকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করতে হবে। এরপর ঝাড়গ্রামের সভায় দাঁড়িয়ে কমিশনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,“ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছ? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আমাদের। ওরা কিছু করতে পারবে না।নবান্ন কমিশনের সুপারিশ না মানায় রাজ্যের সচিবালয়কে ফের চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ মতো ওই চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। নবান্নের তরফে শুধু জানানো হয়েছিল, নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এক এইআরও এবং একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। অন্য অফিসারদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাবে রাজ্য সরকার। তারপর করা হবে পদক্ষেপ। রাজ্যের সেই বার্তার পরই মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করে কমিশন। কমিশনের তরফে প্রশ্ন করা হয়েঠিল যে তাদের নির্দেশ মানতে অসুবিধা কোথায় রাজ্যের? কমিশনের এক্তিয়ারের কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে। তারপর কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করতে সাতদিন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার দিনে আংশিকভাবে নির্দেশ মানল রাজ্য সরকার।