Languages

কুস্তির আখড়ায় বাবার স্বপ্নপূরণ! জানুন এক অজানা লড়াইয়ের গল্প

কুস্তির আখড়ায় নতুন ইতিহাস লিখলেন হরিয়ানার ঝাজ্জরের খানপুর কালান গ্রামের মেয়ে তপস্যা গেহলট। বুলগেরিয়ার সামাকভে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৭ কেজি বিভাগে স্বর্ণপদক জিতে তিনি শুধু দেশের গর্ব বাড়ালেন না, পূর্ণ করলেন বাবার বহুদিনের স্বপ্নও।

শৈশব থেকে প্রপিতামহ চৌধুরী হাজারি লালের দঙ্গল কাঁপানো কাহিনি শুনে বড় হওয়া তপস্যা বাবার অনুপ্রেরণায় কুস্তির আঙিনায় নামেন। বাবা পরমেশ গেহলট নিজেও একসময় জাতীয় স্তরের কুস্তিগির ছিলেন, তবে চোটে ভেস্তে যায় তাঁর কেরিয়ার। সেই স্বপ্নই মেয়ের মাধ্যমে পূর্ণ হল।

তবে তপস্যার এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। ২০০৬ সালে কন্যাসন্তান জন্মের পর পরিবারকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল— মেয়ে জন্মানোর কারণে। পরমেশ জানান, “তখন অনেকেই বলেছিল মেয়ে কিছুই করতে পারবে না। আজ তপস্যা বিশ্বসেরা হয়ে সেই অপবাদকে জবাব দিয়েছে।” পরমেশ আরও বলেন, “দেশের হয়ে কিছু করার ইচ্ছেটাই ওকে আলাদা করে তুলেছে। কোচ কুলবীর রানারও বিরাট অবদান আছে। তিনি তপস্যাকে নিজের মেয়ের মতো করে গড়ে তুলেছেন।”

২০১৬ সালে স্থানীয় অ্যাকাডেমিতে কুস্তির হাতেখড়ি হলেও পরিকাঠামোর অভাবে সোনিপতের কুলবীর রানার আখড়ায় ভর্তি হন তপস্যা। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর বিশ্বজয়ী যাত্রা। ইতিমধ্যেই অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। এখন লক্ষ্য সিনিয়র স্তরে ভারতের পতাকা আরও উঁচুতে তোলা।