ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পথ আরও মসৃণ করছে ভারত। কূটনৈতিক মহলে যখন জল্পনা চলছিল, মার্কিন চাপের মুখে নয়াদিল্লি রুশ তেল কেনা কমাতে বা বন্ধ করতে বাধ্য হবে, তখনই সূত্রের খবর—সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য ভারতের দুই শোধন সংস্থা বিপুল পরিমাণ রুশ তেলের বরাত দিয়েছে।
গত কয়েক মাসে রুশ তেলের উপর ছাড়ের অঙ্ক কমানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি আবারও ব্যারেলপ্রতি প্রায় তিন ডলারের ছাড় দেওয়া হয়েছে উরালের তেলে। যা প্রায় পাঁচ শতাংশ সাশ্রয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করা ভারতের জন্য এই ছাড়ের অঙ্কই বিশাল অর্থনৈতিক সাশ্রয় এনে দিচ্ছে। বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারের চাপও কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে রুশ তেল আমদানির কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপান। এর পর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়, যা নিয়ে প্রবল চাপে পড়েছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতেই রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করে, ভারতীয় চারটি শোধনাগার রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানায়—শক্তি সম্পদ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। দেশের চাহিদা, জাতীয় স্বার্থ এবং বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অবশ্য এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে বরাত দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। ফলে এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন চাপ থাকলেও, অর্থনৈতিক স্বার্থে রাশিয়ার দিকেই ঝুঁকছে ভারত।