ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেবেন না তিনি, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ইস্যুতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে ডেকে ‘প্রবল চাপ’ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে পৌঁছন মনোজ পন্থ। ঘণ্টাখানেকের বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। আগামী ২১ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
রাজ্যের দুই ইআরও, দুই এইআরও ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ভোটার লিস্টে ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, অফিসাররা তাঁদের আইডি শেয়ার করেছেন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে। তাঁদের সাসপেন্ড করার ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করে কমিশন। সেই ব্যবস্থা না হওয়ায় বুধবার পন্থকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে।সূত্রের খবর, কমিশনের দেওয়া চিঠির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, সেই নিয়ে এদিন ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে।কমিশনের নির্দেশের পর ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেন তিনি। পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যন্ত ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন মুখ্যসচিব।