মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়ালেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ভারত এই মন্তব্যকে ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল’ বলে তীব্র নিন্দা জানালে, ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে নেমে পড়েছে—এমনই অভিযোগ উঠেছে কূটনৈতিক মহলে।
সূত্রের দাবি, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার, পানীয় জল, সংবাদপত্র—সব কিছুর যোগান বন্ধের নির্দেশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে পাকিস্তানের প্রশাসন। এমনকি ভারতীয় কূটনীতিকদের বাড়ি ও অফিসে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের অনধিকার প্রবেশের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। এ সবের নেপথ্যে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি কূটনৈতিক সূত্রের।
ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ভিয়েনা কনভেনশনের সরাসরি লঙ্ঘন। নয়াদিল্লিও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে—ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্য সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের এই আচরণ অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা কূটনৈতিক টেবিলে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হয়ে ইসলামাবাদ এখন পরোক্ষভাবে চাপ তৈরির পথে হেঁটেছে। তবে এ ঘটনা নতুন নয়—২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময়ও একই কৌশল নিয়েছিল পাকিস্তান।