ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের বুথ কনভেনারকে গুলি করে খুন। মৃতের নাম সেকেন্দার খাঁ ওরফে সায়ন খাঁ। তৃণমূল নেতা খুনে অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই প্রাক্তন বুথ সভাপতি নাসিম শেখের বিরুদ্ধে। সেকেন্দারের সঙ্গে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা স্বীকার করলেও নাসিমের পরিবারের দাবি এই খুনে জড়িত নয় নাসিম।ঘটনাটি বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ স্থানীয় পখন্না বাজার থেকে বাইকে চড়ে চকাই গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে পিছন থেকে পরপর গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের ওই নেতাকে।
তৃণমূল নেতা সেকেন্দার খান খুনের ঘটনায় নাম জড়ালো স্থানীয় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি নাসিম শেখের। নাসিম শেখ বর্তমানে বিজেপির কর্মী দাবি করে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। অভিযুক্ত নাসিম শেখ সক্রিয় তৃণমূল কর্মী দাবি করে তাঁর পরিবারের পাল্টা দাবি সেকেন্দার খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামের অদূরে সোমবার রাতে খুন হন তৃণমূলের স্থানীয় বুথ আহ্বায়ক সেকেন্দার খান। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। এরপর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, পখন্না বাজার থেকে মোটরবাইকে একাই বাড়ি ফিরছিলেন সায়ন। চকাই গ্রামে ঢোকার মুখে একটি সেচ খালের ধারে আচমকাই পিছন থেকে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। মাথা ও পিঠে একাধিক গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আততায়ীরা দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনামুখী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সায়ন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাবশালী সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সূত্রের খবর, এই খুনের পিছনে রয়েছে বিজেপি ও সিপিএম এর হাত। মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি নাসিম শেখ বর্তমানে বিজেপির কর্মী। এখন সে নিজের পদ ফিরে পাওয়ার জন্য পথের কাঁটা সেকেন্দার খাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। একই দাবি করেছে মৃতের আত্মীয়েরাও।