Languages

বিরোধীদের কমিশনের দফতর অভিযানে ধুন্ধুমার, আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, অসুস্থ মহুয়া-মিতালি

ওয়েব ডেস্ক: এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিরোধী সাংসদরে মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার দিল্লিতে। সোমবার সংসদ ভবন থেকে ৩০০ বিরোধী সাংসদ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘ভোট চুরি বন্ধ করো’, বিরোধী সাংসদদের মিছিল থেকে উঠল স্লোগান। সংসদ ভবন থেকে কিছু দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকালে। বিরোধীদের মিছিলকে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ-আধা সেনা। ব্যারিকেডে চড়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেবরা। ব্যারিকেড টপকে চলে আসেন অখিলেশ যাদব। মিছিল আটকাতেই বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পুলিশ আটক করে বাসে তোলার পরেই ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহুয়া মৈত্র, আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। অসুস্থ হয়ে পড়েন এসপির এক সাংসদও। সাংসদদের অসুস্থতার খবর পেয়ে খোঁজখবর নেন রাহুল। বাস থেকে নেমে এসপির অসুস্থ সাংসদকে তুলে দেন অন্য গাড়িতে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। ভোটার জালিয়াতি নিয়ে আজ বিরোধী সাংসদরা নির্বাচন কমিশন অভিযান শুরু করেন। সংসদ ভবন থেকে ৩০০ বিরোধী সাংসদ প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান। বিরোধী সাংসদদের এই মিছিলের অনুমতিও দেওয়া হয়নি দিল্লি পুলিশের তরফে। এই অবস্থায় সংসদ ভবন থেকে মিছিল বের হওয়ার পর কিছুটা দুরেই ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন সাংসদরা। মোদি সরকার হায় হায়’ স্লোগান দিচ্ছেন মহুয়া মৈত্র, সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। মিছিলে দেখা গেল বিভিন্ন ভাষায় লেখা পোস্টার। পোস্টারেই ‘ভোট চুরি’ বন্ধ করার দাবি, কোনও কোনও পোস্টারে আবার উঠে অল এসআইআর-এর বিরুদ্ধে স্লোগান। তৃণমূল সাংসদদের হাতে থাকা ব্যানার এবং পোস্টারে নির্বাচন কমিশনকে বিঁধে লেখা হয়েছে, ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি’। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়’।

সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার দিল্লিতে। সাংসদদের আটকাতে পুলিশ আজ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। শাড়ি পরে মিছিলে হাঁটা মহুয়া সেই ব্যারিকেড টপকে যান। বিক্ষোভ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এদিকে তৃণমূলের সাংসদ মিতালি বাগ আবার বিক্ষোভের সময় অজ্ঞান হয়ে যান। রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্যরা মিলে তাঁকে সাহায্য করেন পরে। দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমাদের লড়াই গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। তা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।’