ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের ওপর রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের ওপরেও তাই ৩৭ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বসিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই শুল্কের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক ২০ শতাংশ। এত পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে তার পরেও, অন্তর্বর্তী সরকার এই ফল নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়, তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত ভালো জায়গায় রয়েছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, আমেরিকা মোট ১৫৪টি দেশের বিরুদ্ধে এই ট্যারিফ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। ট্যারিফ ঘোষণার পরপরই সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, পেশাজীবী এবং সিপিডি-এর মতামত নিয়ে আলোচনার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
একবার দুবার নয়, চারবার এই আলোচনায় বসেছে আমেরিকা ও বাংলাদেশ। তার ফলেই এত বড় সাফল্য এসেছে।
অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ক্রমশ বাণিজ্যিক টানাপোড়েন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের জন্য এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সোজা করে দেওয়া হয়েছে ৫০ শতাংশ।রাশিয়া থেকে তেল কেনার অপরাধে ভারতকে শাস্তি দিতে ‘শুল্কঅস্ত্র’ প্রয়োগ করেছেন ট্রাম্প।
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে তরজা শুরু গত ফেব্রুয়ারি মাসে। জাতীয় নিরাপত্তার উল্লেখ করে ভারতীয় স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামে ২৫% ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত এই ট্যারিফের নিন্দা করে। মে মাসে ভারত জানায় যদি শুল্ক কমানো না হয় তবে সমান প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। কিন্তু আমেরিকা আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল না।