ওয়েব ডেস্ক: চরমে রাজ্য সরকার বনাম নির্বাচন কমিশনের সংঘাত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দুই ইআরও-সহ চার জন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও কেন চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়? এবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেডলাইন বেঁধে দিল কমিশন। দুই ERO ও দুই AERO-র বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যেই জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিশন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন দুই নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক এবং দুই সহকারী নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারপরেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেবেন না। অভিযোগ, নির্বাচন অনেক দূরে হলেও কমিশন অতিসক্রিয় হয়ে এখন থেকেই শাস্তি দিচ্ছে। রাজ্যের সরকারি আধিকারিক ও পুলিশকে ভয় দেখানোর অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রথম বার যখন চিঠি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, তখন একটি লাইনে ‘ASAP’ শব্দটি উল্লেখ করা ছিল। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটাও জানানোর নির্দেশ ছিল। কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরও কোনও উত্তর না আসায় ফের চিঠি করে নির্বাচন কমিশন। এখনও কেন নির্দেশ কার্যকর হয়নি, জানতে মুখ্যসচিবকে আরও একবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে রিপোর্ট দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আগামী সোমবার, ১১ অগস্ট বিকেল ৩টার মধ্যে।