ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে লালকেল্লায় বোমাতঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী যেখান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেই চত্বরে মিলল বোমা! কড়া নিরাপত্তার মোড়া এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যে সন্দেহজনক বোমা পড়ে থাকলেও গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি দিল্লি পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৭ পুলিশকর্মীকে।
আসলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিভিআইপি চত্বর লালকেল্লার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মক ড্রিলের আয়োজন করেছিল নিরাপত্তা বিভাগ। তারই অংশ হিসেবে সাদা পোশাকে জঙ্গিদের প্রবেশ করানোর কথা ছিল লালকেল্লায়। লালকেল্লার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বোকা বানিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় নকল ‘জঙ্গি’দের দল। শুধু তাই নয়, দ্বিস্তরীয় মেটাল ডিটেক্টরকে টপকে বোমা-সহ ঢুকে পড়ে জঙ্গির বেশে থাকা সাদা পোশাকের নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার স্পেশাল সেলের একটি দল সাদা পোশাকে লালকেল্লা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন এবং একটি ডামি বোমা রেখে আসেন। তার পরেই মহড়া শুরু হলেও বোমাটিকে শনাক্ত করতেই ব্যর্থ হন পুলিশকর্মীরা বলে দাবি। লালকেল্লার নিরাপত্তার এমন চূড়ান্ত অব্যবস্থা নজরে আসার পর নিরাপত্তা বিভাগের তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লির নর্থ জেলার ডিসিপি রাজা ভাটিয়াকে। নিরাপত্তা গাফিলতির বিষয়টি সামনে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেন ভাটিয়া। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৭ পুলিশকর্মীকে তৎক্ষণাৎ সাসপেন্ড করা হয়।
সূত্রের খবর, সোমবার জোর করে লালকেল্লায় ঢোকার চেষ্টা করায় পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলেই বেআইনি ভাবে এদেশে প্রবেশ করেছে এবং দিল্লিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।