ওয়েব ডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদানের ঘোষণা এবছর পেড়িয়ে গেল লাখ টাকাকে। অনুদানের ১ লাখ ১০ হাজার নয়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজ্যের ৪৪ হাজার সর্বজনীন পুজো কমিটিগুলিকেই আরও বিপুল পরিমাণ লক্ষ্মীলাভের সুযোগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা ঘিরে স্বভাবতই খুশি কমিটির সদস্যরা। অনুদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ মাশুলে বেশ খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ফায়ার লাইসেন্স ফি ছাড়া দেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর তরফে দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পরে উৎসব আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয় বাংলা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো বৈঠক লাইভ দেখানো হয়েছে হুগলি ডিএম অফিস এবং চন্দননগরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
গোটা রাজ্যের পাশাপাশি হুগলি জেলার পুজো কমিটির সদস্যরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ডুয়ার্স-কোচবিহার-মালদহ থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া-বোলপুর-হুগলির পুজোকমিটির কর্তারা জানিয়েছেন, “ছোট ও মাঝারি পুজো আয়োজন শুধু সহজ হল, আরও জাঁকজমক করে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব করার পথ সুগম করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।” হুগলির বড়ো বড়ো পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তারা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও এখানকার পুজো জাঁকজমকতা সকল দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। শহরটি তার শৈল্পিক কারুকার্যের জন্য বিখ্যাত। যা প্রতিমার সাজসজ্জা এবং সূক্ষ্ম কাজে প্রতিফলিত হয়। পুজো করার জন্য স্থানীয়দের ভক্তি এবং আধ্যাত্মিক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।