ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা হিসেবে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। এরপর থেকেই একাধিকবার ভারতের সীমান্তে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাদের যোগ্য জবাবও দিয়েছে ভারত। সেই সময় এক যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার বলেছিলেন তার হস্তক্ষেপেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ বিরোতি ঘটিয়েছে। কিন্তু, সেটাই কি সত্যি কথা? ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর ট্রাম্পের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এই নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কেন্দ্র বারবার জানিয়েছে, পাকিস্তানের অনুরোধ মেনেই দুই দেশের DGMO বৈঠকে বসেন। সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। তৃতীয় কোনও পক্ষের এতে কোনও হাত নেই।
এই প্রসঙ্গে মোদি বলেছেন, একটা স্পষ্ট কথা , যে অন্য কোনও দেশ ভারতের নিরাপত্তা পদক্ষেপ বন্ধ করেনি। রাষ্ট্রসংঘে ১৯৩টি দেশ রয়েছে। মাত্র ৩টি দেশ পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছে। বাকি সব দেশ আমাদের সঙ্গে ছিল। আমরা ১৯০টি দেশের সমর্থন পেয়েছি। অর্থাৎ তার কথাতেই স্পষ্ট, কোন একজনকে নির্দিষ্টভাবে পদক্ষেপ নিতে হয়নি। পাকিস্তান যে ধরনের অন্যায় করেছে, তার বিপক্ষে ছিল গোটা বিশ্বই। মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। গোটা বিশ্বের সমর্থনই পেয়েছে ভারত।
এবার সংসদে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বললেন, “ট্রাম্পকে মিথ্যেবাদী বলুন মোদি।”এরপরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি নিয়ে সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব? যদি ট্রাম্প মিথ্যে কথা বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেটা সংসদে বলুন। সংসদে তিনি বলুন যে ট্রাম্প মিথ্যেবাদী।”মোদি বললেন, “পৃথিবীর কোনও নেতা ভারতকে অপারেশন থামাতে বলেনি।” নিজের কথার সপক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মোদি আরও বলেন, “৯ মে রাতে মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় আমি সেনার সঙ্গে বৈঠক করছিলাম। পরে যখন আমি ফোন করি তিনি বলেন পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমি জবাব দিয়েছিলাম। যদি পাকিস্তান সত্যিই হামলা করে তাহলে আমরা আরও বড় প্রত্যাঘাত করে জবাব দেব। গুলির জবাব আমরা গোলায় দেব।