ওয়েব ডেস্ক: মহেশতলায় মাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ ছেলেকে আটক করেছে।
জানা গিয়েছে, মহেশতলা পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারেঙ্গাবাদ চন্ডীতলা এলাকায় ঘটে ঘটনাটি। চন্ডীতলা এলাকাতেই নিজেদের বাড়িতে থাকতেন মৃত মহিলার নাম বিজলি ঘোষ। বয়স ৮০ বছর। বৃদ্ধা ছেলের সঙ্গে একাই থাকতেন। স্বামী মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বছর আগে মারা গিয়েছেন। অভিযুক্ত ছেলের নাম সঞ্জয় ঘোষ। বয়স ৫০ বছর। রাতে মহেশতলায় বাড়ির ভিতর থেকে মহিলার পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ছেলেকে করেছে পুলিশ। মাকে খুন করেই কি দেহ লোপাটের চেষ্টা ছেলের! তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলে সঞ্জয় ঘোষ মানসিক ভারসাম্যহীন। বেশ কিছুদিন আগে নিজের মাকে মারধর করে সঞ্জয়। শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয়রা পচা গন্ধ অনুভব করতে থাকে। সন্ধ্যাবেলায় হঠাৎ রহস্যজনকভাবে বাড়ির ভিতর থেকে ধোঁয়া দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপরই খবর দেওয়া হয় দমকলে এবং মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং মহেশতলা থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মা বিজলী ঘোষকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দমকল কর্মীরা তড়িঘড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘরের ভিতর থেকেই ছেলে সঞ্জয় ঘোষকে আটক করে নিয়ে যায় মহেশতলা থানার পুলিশ। ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান গত তিন থেকে চারদিন ধরে মা বিজয়ী ঘোষকে দেখা যাচ্ছিল না। তাহলে আগেই কি বিজলী ঘোষ কে খুন করে পরে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে ছেলে? সে বিষয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।