ওয়েব ডেস্ক: মেঘালয় হানিমুন মার্ডার নিয়ে কোন ছবি তৈরি করছেন না। সমস্ত গুজব ওড়ালেন স্বয়ং আমির খান। বিয়ের পর স্বামী রাজা রঘুবংশী কে নিয়ে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সোনাম। সেখানেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করিয়েছিলেন সোনাম। হঠাৎই জল্পনা শোনা যায়, মেঘালয় হানিমুন মার্ডার নিয়ে তৈরি হতে চলেছে একটি থ্রিলার সিনেমা। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন বলিউডের মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট।
তিনি জানিয়েছেন, এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। রাজা রঘবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনামের ঘটনাটি খুব ভালো করে নজর করেছেন। এই বিষয়ের ওপর কোন ছবি তৈরি করা হচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে রাজা ও সোনামের পরিবার এবং তাঁদের ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ছবি তৈরির বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।
১৯ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন রাজা রঘুবংশী ও সোনাম রঘুবংশী। সেখানে গিয়েই আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। কোন খোঁজ মিলছিল না ওই দম্পতির। বেশ কয়েকদিন পর মেঘালয়ের ওয়েইসাডং জলপ্রপাতের কাছে একটি খাদে পাওয়া যায় রাজা রঘুবংশীর দেহ। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী সোনম রাজবংশীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর রাজার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে মেঘালয় থানার পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় উত্তরপ্রদেশের গাজি থানার সঙ্গে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি ধাবা থেকে পাওয়া যায় সোনামকে। এরপর থেকেই দানা বাঁধে রহস্য। পেঁয়াজের খোলসের মত বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। চাপের মুখে পড়ে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সোনাম। সঙ্গে তাঁর আরও তিন খুনিকে ধরা হয়। যার মধ্যে সোনমের প্রেমিকও রয়েছেন। দীর্ঘ তদন্তের পর নিজের মুখে স্বামীকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
এর বেশ কিছুদিন পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় এই ঘটনার উপর তৈরি হতে চলেছে একটি থ্রিলার ছবি। এই বিষয় নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন আমির খান।